ভিডিও

কাউনিয়ায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে   পড়ায় দুর্ভোগে কয়েকশ’ পরিবার

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৪, ০৪:৩৯ দুপুর
আপডেট: জুন ২৪, ২০২৪, ০৪:৪২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ২ নম্বর হারাগাছ ইউনিয়নের পূর্বনাজিরদহ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ১৪০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি পানিতে ভেঙে গেছে। গত ১৮ জুন দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নদীর দুইপাড়ের কয়েকশ’ পরিবার।

পূর্বনাজিরদহ গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী, রুমেল মিয়া জানান, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। প্রায় বিশ বছর আগে দুইপাড়ের মানুষ নৌকায় পারাপার করতো। লোকজনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করে দেয়। সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরলে সাঁকোর পাশেই আরেকটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ শুরু করা হয়। কিন্তু এর দুইপাড়ে প্রায় ৬০ ফুট নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। অদ্যাবধি তা নির্মাণ হয়নি।

গত রোববার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তার শাখা মানাস নদীতে নরবরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পানিতে পড়ে আছে। বিকল্প পথ না থাকায় লোকজন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। গ্রামের আরেক বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, নদীর উত্তর পাড়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এক সপ্তাহ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেঙে পড়া সাঁকো দিয়েই পারপার করছে মানুষ।

হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, বাঁশের সাঁকোটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছিল। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। ভেঙে পড়া সাঁকোটির পাশে নির্মিত কাঠের সাঁকোটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। যোগাযোগ করা হলে কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমী বলেন, তিস্তার শাখা মানস নদীর ওপর কাঠের সাঁকোর অসমাপ্ত নির্মাণ কাজের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, শিগগিরই তা নির্মাণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS